গুলশানে পুলিশ কে মাসোহারা দিয়ে পায়েলের স্পা সেন্টারে দেহ ও মাদক ব্যবসা

বিজয় পাল: রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে গড়ে ওঠা একাধিক অবৈধ স্পা সেন্টার ও গেষ্ট হাউজের নামে এখন মিনি পতিতালয়ে পরিনত। জানা গেছে, ৪৭ নং একটি বাড়িটিতে অসংখ্য নারী ও পুরুষের সমাগমে চলছে ডিজে এবং মাদকের হাট। প্রকাশ্যে এসব হোটেলে চললেও মাথা ব্যাথা নেই গুলশান বিভাগের পুলিশ প্রসাশনের। সমাজের এমন অপরাধে পুলিশ প্রসাশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জনসাধারন অভিযোগ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের সেক্সুয়াল ইঙ্গিতমূলক চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্লায়েন্ট ডেকে যুবক দিয়ে যুবকদের যুবতী দিয়ে ব্ল্যাককমেইলের নামে চলছে নারী বাণিজ্য। এ ক্ষেত্রে সুন্দরি বাঙালি তরুণী ছাড়াও থাই, নেপালি বা অন্য কোনেও বিদেশি তরুণীদেরও ব্যবহার করার তথ্য রয়েছে। এছাড়াও ওইসব স্পটে গ্রুপবেঁধে চলে অবৈধ কর্মকান্ড, ঠিক যেন মধুচক্রের আসর। সমাজের নিষিদ্ধ ব্যবসা দির্ঘদীনের। নেই কোন পুলিশের তৎপরতা। জানা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানে বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০-১২ জন মেয়ে দিয়ে চলছে এসব কারবার। এবং পায়েলের নামে গুলশান থানায় একটি রয়েছে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ আইনের ১১/১২/১৩/৭ মামলা টি এখনো চলমান রয়েছে এবং কিন্তু দিন আগে এই প্রতিষ্ঠানে জোরা খুনের ঘটনা রয়েছে।
ইউনিভার্সিটিপড়ুয়া কম বয়সী মেয়েরাও আছে তাদের নিয়ন্ত্রনে। যদি কেউ যদি ঘণ্টা হিসেবে রমনীদের নিয়ে রুম ভাড়া চান সেটি মিলছে এখানে। স্পা সেন্টারের মালিক পায়েলের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আকর্ষণীয় মেয়ে। তবে পুলিশের ঝামেলা হবে না তো? জানতে চাইলে ওই লোকজন ও ব্যবসায়ীরা বলেন, কোনো সমস্যা নাই, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, নিয়মিত মাসোয়ারা দেই। কোনো সমস্যা নাই।
অপদিকে পরস্পর যোগসাজশে সংঘবদ্ধভাবে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য স্পা সেন্টারে নামে পতিতালয় স্থাপন করে তা চালিয়ে যাচ্ছে নির্ভিগ্নে। পতিতাবৃত্তির উদ্দেশে আহার করে যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আইন শৃংখ্যলা রক্ষাকারী বাহিনী সবকিছু জেনে ও না জনার ভান করে তাদের যথাযথ দায়ীত্ব পালনে উদাসিনতার চাদর মুড়ি দিয়ে রয়েছে। তারা তাদের হীন অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সমাজে বেশরা কাজের ভীড় জমাচ্ছে আর মানুষকে পাপাচারে লিপ্ত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দুর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।
এবিষয়ে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, আমার এলাকায় এসব অবৈধ ব্যবসা চলবে না। তবে আপনাদের তথ্য আমাদের কাজের সহযোগীতা বাড়াবে। এসব অপরাধীরা যত বড়ই শক্তিশালী হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। বিস্তারিত আসছে পএিকাতে চোখ রাখুন।



