ডিয়াবাড়িতে মসজিদের অজুখানা ভাঙতে রাজউকের বিশেষ অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ।

মাহমুদুল হাসান, মামুন খান, ঢাকা
উত্তরা দিয়াবাড়িতে মসজিদের অজুখানা ও টয়লেট ভাঙতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। বুধবার সকালে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা রহমান ও অথরাইজড অফিসার এহসানুল ইমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।অভিযানে বিপুল পুলিশ সদস্য ও ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। স্থানীয়দের মতে, শুধুমাত্র একটি মসজিদের টয়লেট ও অজুখানা ভাঙতেই রাজউকের এমন ব্যয়বহুল অভিযান পরিচালনা করা হাস্যকর ও অযৌক্তিক।অভিযানটি চালানো হয় উত্তরা দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল উত্তর স্টেশনের পাশে নির্মিত ‘জামিয়া রহিমিয়া আরাবিয়া ঢাকা’ নামের মসজিদে। মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান মাওলানা এনায়েত উল্লাহ জানান, “রাজউক চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়েই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। মুসুল্লিদের সুবিধার্থে মাত্র তিনটি টয়লেট ও একটি অজুখানা নির্মাণ করা হয়েছিল। কোনো নোটিশ ছাড়াই রাজউক হঠাৎ এসে ভাঙচুর করেছে—যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত।”স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দিয়াবাড়িতে অসংখ্য অবৈধ বাজার ও স্থাপনা গড়ে উঠলেও সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে না; বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধু মসজিদটিতেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তারা এ ঘটনার পেছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানান।দিয়াবাড়িতে অভিযান শেষে রাজউকের দল উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরে সীমিত পরিসরে আরেকটি অভিযান চালায়। সেখানে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে কিছু ভবনকে নোটিশ দেওয়া হয় এবং একটি আসবাবপত্রের শোরুমের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।অভিযান শেষে অথরাইজড অফিসার এহসানুল ইমান সাংবাদিকদের গা বাচানো বক্তব্য দেন।



