উত্তরায় আমির কমপ্লেক্সে আ.লীগের দোসর ব্যবসায়ীদের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব, আতঙ্কে সাধারণ ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় আমির কমপ্লেক্স শপিং কমপ্লেক্সে আওয়ামী লীগের দোসর ব্যবসায়ীদের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে। বণিক কল্যাণ সমিতি নামে ওই শপিং কমপ্লেক্সে দুইটি গ্রুপের দন্ধ এখন প্রকাশ্যে। যে বণিক কল্যাণ সমিতির ব্যবসায়ীদের সস্তি দেওয়ার কাথা, সেই বণিক কল্যাণ সমিতি এখন আতঙ্কের কারণে হয়ে উঠেছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে। সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবি দ্রুত নির্বাচন দিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের বিতারিত করে পূণ:রায় কমিটি গঠন করার।
ওই মার্কেটের দোকানদাররা বলছেন, বর্তমানে উত্তরা আমির কমপ্লেক্সে দুইটা গ্রুপ রয়েছে তারা দুইজনেই আওয়ামী লীগের দোসর। ওয়াহিদুজ্জামান সুজন যেরকম আওয়ামী লীগের দোসর সেই একই রকম সুলতান আহমেদও। তাদের সহযোগী ও পরামর্শ দাতা হিসেবে রয়েছেনি বাকিরা।
ব্যবসয়ীরা বলেনে, উত্তরা আমির কমপ্লেক্স বণিক কল্যাণ সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও আগে। কিন্তু তাদের এসব নোংরামির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে ঘায়েল করতে আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে ফায়দা লুট চায়। ফায়দা নিচ্ছে দুই পক্ষই। এরই মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে দুই গ্রুপের মাঝে। এ বিষয় নিয়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। এই ঘটনায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মুখে বারবার উচ্চারিত হচ্ছে ওসমান গণি শুভ নামে এক ব্যাক্তির নাম। ব্যবসায়ীরা বলছে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের লোক। এই বিশৃংঙ্খলার মূল হোতা হিসেবে ব্যবসায়ীরা তাকেই সন্দেহ করছে।
এ বিষয়ে ওসমান গণি শুভ নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে একবার আইনজীবি একবার শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি রাজধানী সুপ্রভাতকে বলেন, এই মার্কেটে আমার কোন দোকান নাই তারপরও কেন আমার নাম আসলো সেটা আমি জানি না।
অন্যদিকে একটি মার্কেটের ম্যানেজার আবু জাফরকে দিয়ে ওয়াহিদুজ্জামান সুজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় জিডি করানো হয়, যাহার নং-২৯৬২।
এ বিষয়ে পাবনা জুয়েলার্স এর মালিক আলম রাজধানী সুপ্রভাতকে বলেন, আমি ওয়াহিদুজ্জামান সুজনের লোক। আমি তার প্যানেলে আছি। আমরা মার্কেটের সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই। ঈদের পর এই মার্কেটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ এর দোসর কি না এর জবাবে আলম বলেন, আমি রাজনীতি করি না। আমার উপর যে অভিযোগ আছে ৫ই আগষ্টে আমার দোকানে হাবিব হাসান আশ্রয় নিয়েছিল তা সঠিক নয়।
এই দ্বন্দের বিষয়ে আল রাজু জুয়েলার্স এর মালিক সুলতান আহম্মেদ এর সাথে একাধীক বার যোগযোগ করার চেষ্ট করেও তাকে পাওয়া যায নাই।
ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছে, মার্কেটের অন্যান্য দোকানদারদের সাথে আলাপ করে জানা যায় শান্তি পূর্ণ এ মার্কেটে ইন্দন দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে একটি গোষ্ঠি। এ সব কমিটি নিয়ে সামনে ধীরে ধীরে আরো জটিলতা বাড়তে পারে। ঘটতে পারে মারামারিসহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা। মার্কেটের বিশৃঙ্খলা এড়াতে দুপক্ষের সাথে কথা বলতে ভবন মালিককে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যবসায়িক কল্যাণ সমিতির বিরোধ মিটাতে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি ও উত্তপ্ত পরিবেশ শান্ত করতে মার্কেট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার বিকল্প নেই। এ সমস্যা সমাধানের পথ হিসেবে একমাত্র দ্রুত নির্বাচন দেয়া উচিত বলে মনে করেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীগণ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।



