সংবাদ প্রকাশের জেরে পায়েলের হুমকি-ধামকীর মুখে সংবাদকর্মী, থানায় জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী গুলশানে পায়েলের হুমকির মুখে সংবাদকর্মী গ্রামের অসহায় মেয়েদের দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা পায়েল , মোল্লার দেহ ব্যবসার অভিযোগ বহুদিনের। কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না তার এই অবৈধ্য ব্যবসা। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দেদারছে চালাচ্ছে দেহ ব্যবসা। অসহায় মেয়েদের চাকুরীর প্রোলভন দেখিয়ে তাদের দিয়ে জোড় করে চলে এই অবৈধ্য ব্যবসা। তাদের বিরুদ্ধে অনেক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করলেও তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কোন কার্যক্রমই দেখা যাচ্ছে না। পায়েল গুলশান একটি স্পা সেন্টার রয়েছে ২৪ নং রোডে । যেখানে চলে সুন্দরি রমনিদের দিয়ে দেহ ব্যবসা।
তাদের প্রতিষ্ঠানে কয়েকজন মেয়ের সাথে কথা বলে জানাযায়, আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তারা আমাদের দিয়ে জোড় করে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। আমাদের ভালো চাকুরী দেওয়া কথা বলে গ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে পায়েল ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পায়েল প্রতিষ্ঠানের এক মেয়ে রাজধানী সুপ্রভাত বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ তাই আমি চাকুরীর জন্য গ্রাম থেকে ঢাকায় আসি। তারা আমাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাচ্ছে। আমি কখনো ভাবি নাই আমার জীবনের এই অবস্থা হবে। এইটা কী কোন জীবন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন পুরুষের সঙ্গী হতে হয়।
অন্য আরেক মেয়ে বলেন, আমাকে চাকুরীর কথা বলে তারা ঢাকায় নিয়ে আসে। এনে আমাকে এক স্পা সেন্টারে বিক্রি করে দেয়। এখন আমি অসহায় হয়ে এই কাজ করছি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বিউটি পার্লার ও ম্যাস্যাজ সেন্টার গুলোতে নামে বিউটি পার্লার হলেও এর আড়ালে চলে রমরমা দেহ ও মাদক ব্যবসা। আর এইসব বিউটি পার্লার ও ম্যাস্যাজ সেন্টার গুলোতে বেশিরভাগই কাজ করে নারীকর্মী। তারা পুরুষদের শরীর ম্যাসেজ, দেহ ও মদক সহ অনৈতিক কাজে জড়িত বলে যানা যায়। গুলশান- এলাকার ম্যাসাজ ও বিউটি পার্লারের মধ্যে কেবল এমন একটি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে অনৈতিক কাজে থাই নাগরিকসহ বিদেশিরাও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে বহুদিনের।
তাদের সম্পর্কে খুজ নিয়ে জানাযায়, তারা দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের সাথে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে উঠাবসা এবং গভির সম্পর্ক রয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মনরঞ্জণ করার জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানের রমনিদের ব্যবহার করেন। সুধু তাই নয় আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের নারী সাপ্লাইও করে থাকেন তারা।
পায়েলের স্পা সেন্টার সম্পর্কে খুজ নিয়ে আরো জানাযায়, বেশ কিছু দিন পূর্বে তাদের নামে মানব পাচারের একটি মামলা হয়েছে। যা ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ আইনের ১১/১২/১৩/৭ ধারায় হয়। পায়েল গুলশান স্পা সেন্টারের বড় দালাল হিসাবে পরিচিত এবং । বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এই পায়েল চক্রে চলছে এই অবৈধ্য প্রতিষ্ঠান গুলো। তিনি আজকে হোয়াটসঅ্যাপে এই হুমকি প্রদান করেন এবং বলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে আমি আপনাকে মেরে ফেলবো । গণমাধ্যমের জানের নিরাপত্তার জন্য থানায় জিডি হয়েছে।

যেখানে স্পা সেন্টার নামে চলে অনৈতিক কাজ সেই প্রতিষ্ঠান গুলো হলো, গুলশান এর ২৪ নম্বর রোড এর একটি আবাসিক বাড়ির ।
ভবনগুলোর নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, সকালে প্রতিষ্ঠান খোলা হলেই সুন্দরী মেয়েরা ভিতরে প্রবেশ করে। আর সারাদিন এইসব প্রতিষ্ঠানে পুরুষ আসা-যাওয়া করে। ভিতরে তাদের কি কাজ হয় তা আমরা জানি না।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকতার রাজধানী সুপ্রভাত কে জানান, আমরা এই প্রতিষ্ঠান চালাই পুলিশের সহযোগিতায়। আমরা পুলিশকে মাসিক টাকা দিয়ে এই ব্যবসা করি। আমাদের কেউ কিছু করতে পারবে না।
এই অভিযোগ বিষয়ে পায়েলের এর সাথে মোঠফোন যোগাযোগ করলে তিনি রাজধানীর সুপ্রভাত কে বলেন, আপনার অভিযোগ নিয়ে আপনি বসে থাকেন এবং তিনি বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে আসছে পায়েল এর সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।
স্পা সেন্টারের বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা রাজধানীর সুপ্রভাতকে বলেন, তারা আমাদের কাছে থেকে বিউটি পার্লারের ট্রেড লাইন্সেস নিয়েছে। তারা বৈধ্য লাইসেন্স নিয়ে অপরাধ মূলক কাজ করে আসছে। আমরা এই বিষয়ে জানতাম না। এখন জেনেছি আমরা কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবো।
এই বিষয়ে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি)র কর্মকর্তা রাজা চৌধুরী রাজধানীর সুপ্রভাত কে বলেন, আমাদের কাছে এই মালিকের সকল তথ্য রয়েছে। তাদের কয়টা স্পা সেন্টার আছে তাও আমরা জানি। তাদের সম্পর্কে আমরা আরও তথ্য নিচ্ছি। অতীশীগ্রই তার প্রতিষ্ঠান গুলোতে অভিযান পরিচালনা করবো।
এই বিষয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি রাজধানীর সুপ্রভাত বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা আমাদের সুনিদিষ্ট অভিযোগ দেন। যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায় আমরা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবো। এতে কোন সন্দেহ নাই।
তাদের অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে আমাদের অনুসন্ধান চলছে। বিশেষ সুএ জানা গুলশান থানার ফাড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন এই স্পা ব্যবসায়ীকে উস্কানি দিয়ে এই ব্যবসা করিয়ে যাচ্ছেন আর যত টাকা পয়সা সব আনোয়ারের মাধ্যমে লেনদেন হয়। বিস্তারিত আসছে রবিবারে প্রিন্টে ……….



